ঘূর্ণিঝড় রেমালে সতর্কতা মোংলা বন্দরে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/25/mongla-port.jpg)
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি মোংলা বন্দর থেকে ৪৭৫কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। আজ শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় রেমালে রুপ নেবে নিম্নচাপটি। পরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে রোববার সন্ধ্যায় সুন্দরবন উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে মোংলা বন্দরে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সতর্ক অবস্থানে রয়েছে মোংলা বন্দর।
মোংলা আবহাওয়া কার্যালয়ের ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ জানান, বর্তমানে যে অবস্থান দেখাচ্ছে তাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি বাংলাদেশের ওপর দিয়েই অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সুন্দরবন এলাকা এবং বরিশালের পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা জেলায় রেমালের আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় এরই মধ্যে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সবরকম সতর্কমূলক প্রস্ততি নিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কোস্ট গার্ড, নৌ বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে শনিবার (২৫মে) দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে জরুরি বৈঠক হয়েছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার সাইফুর রহমান জানান, মোংলা বন্দরে এই মুহূর্তে সিমেন্টের কাঁচামাল ক্লিংকার, সার, পাথর ও গ্যাসবাহী ছয়টি জাহাজ অবস্থান করছে। সেগুলোকে নিরাপদে নোঙ্গর করতে বলা হয়েছে। তবে এখনো জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ বন্ধ করার পরিস্থিতি হয়নি। সংকেত বাড়লে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া বন্দরে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্ততি নিয়েছে মোংলা উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, ‘১০৩ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ এক হাজার ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবহাওয়া কার্যালয় থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের কার্যক্রমের গতি বাড়ানো হবে। কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।’