যুবলীগকর্মীকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
যশোরে আবু তাহের নামে এক যুবলীগকর্মীকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি, এর পর থেকে তাহেরের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ সোমবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তাহেরের পরিবারের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ করা হয়। তাহের যশোর সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে।
তবে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মেহেদি বলেন, আমরা এই নামে কাউকে আটক করিনি। আর আমাদের আটক করে রাখার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আটক যে কোনো ব্যক্তিকে আমরা থানায় হস্তান্তর করি।
সংবাদ সম্মেলনে তাহেরকে যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী দাবি করে তাঁর স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, গত ২১ জুলাই সাদা পোশাকের একদল লোক তাহেরকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি (নাজমা বেগম) তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁরা নিজেদের র্যাবের লোক হিসেবে পরিচয় দেন এবং র্যাবের কার্ডও দেখান।
নাজমা বেগম বলেন, পরে যশোর র্যাব কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে তাহেরকে আটকের কথা অস্বীকার করা হয়। এরপর থানা, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ সব জায়গাতেই যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোনো স্থানেই তাহেরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে তাহেরের মা আমেনা বেগম বলেন, তাহের কোনো অপরাধ করে থাকলে তাঁর বিচার করা হোক। কিন্তু সে বেঁচে আছে না মরে গেছে, সেটাও তো আমরা জানতে পারছি না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাহেরের শ্যালকের ছেলে ফয়সাল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতা জিয়া হত্যা মামলায় প্রথমে তাহেরকে আসামি করা না হলেও পরে অভিযোগপত্রে তাঁকে আসামি করা হয়েছিল। তা ছাড়া যুবলীগ করায় বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পেন্ডিং মামলাও দিয়েছিল পুলিশ। তাঁর পায়ে একবার গুলিও করা হয়েছিল।
ফয়সাল ইসলাম বলেন, তাহের যদি সত্যিই দোষ করে থাকেন তাহলে প্রচলিত আইনে তাঁর বিচার করা হোক।