মৃত্যুর ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মৃত্যুর ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে হাবিবুর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন শরিফের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
গত ১৭ এপ্রিল ভোরে মুকসুদপুরের মুড়িয়া জোড়া এলাকায় ইজিবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে চিরকুমার হাবিবুর রহমানের ভাতিজা সালমান ফরাজি তার দলবল নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে হাবিবুরের লাশ। ঘটনার ১৫ দিন পর মৃতের বোন মোসা. আঞ্জুল হক তার ভাতিজা সালমানসহ ৪৫ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুর্ঘটনা নয়, সম্পত্তির দ্বন্দ্বের কারণে হত্যা করা হয়েছে নিহত হাবিবুর রহমানের বোন মোসা. আঞ্জুল হকের এমন অভিযোগে মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন শরিফের উপস্থিতিতে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের কবর থেকে লাশটি উত্তোলনের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর ঘটনার কিছুদিন আগে জমি জবরদখলের পাঁয়তারার অভিযোগ এনে হাবিবুর রহমান ভাতিজা সালমানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়। এরপর হাবিবুর রহমান আদালতে হত্যার হুমকির অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। সালামন এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাবিবুরকে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়েছে এমন অভিযোগ মামলার বাদী আঞ্জুল হকের।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুন শরিফের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে লাশ পাঠানো হয়েছে।