বিজিবি-বিজিপি বৈঠক, সীমান্তে গুলিবর্ষণের প্রতিবাদ

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দুই দেশের সীমান্তের ঘুমধুম ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজের কাছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সীমান্তে গুলিবর্ষণ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদকপাচারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান। অপরদিকে মিয়ানমারের নয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিপির মংডু সেক্টরের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মিউ সুই।
বৈঠক শেষে কর্নেল মুহাম্মদ খালেকুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে জানান, দুপুর ১২টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সীমান্তে বিজিপি বাহিনীর অহেতুক গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক তৈরির বিষয়ের প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিজিপি কর্মকর্তারা গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করে জানান, তাঁরা আতঙ্ক তৈরির জন্য গুলি করেন না। বন্য হাতি তাড়ানোর জন্য সীমান্তরক্ষীরা ফাঁকা গুলি করেন।
বৈঠকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা সীমান্ত অতিক্রম করে ব্যাপক হারে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে তা বন্ধের জন্য বিজিপির সহযোগিতা চাওয়া হয়। এ সময় মিয়ানমারকে জানানো হয়, যেসব রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তাদের আটক করে বিজিবি ফেরতও পাঠাচ্ছে। পতাকা বৈঠকে সীমান্তে একটি বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস স্থাপনের বিষয়ে বিজিবি-বিজিপি একমত হয়েছে বলে জানান বিজিবি কক্সবাজার সেক্টরের কমান্ডার। তিনি জানান, এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে বৈঠকে।