ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কাঁঠালিয়া, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো উপজেলা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া ঝড়টি ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে অর্ধশত আধাকাঁচা ঘরবাড়ি। ঘর চাপা পড়ে আহত হয়েছেন ১০ জন।
ঝড়ে উপড়ে পড়েছে তিন শতাধিক ফলদ ও বনজ গাছ। এ ছাড়া কলাবাগান ও পানের বরজ ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের পর থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। অনেক এলাকায় গাছ উপড়ে রাস্তায় পড়ে যান চলাচল বন্ধ আছে।
জানা যায়, আকস্মিক ঝড়ে কাঁঠালিয়া সদর ইউনিয়নে গাছ উপড়ে পড়ে ছয়টি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ো হাওয়ায় অর্ধশতাধিক ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। আমুয়া ইউনিয়নে বজ্রপাতে দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কাঁঠালিয়া সদর, আওরাবুনিয়া, আমুয়া, পাটিখালঘাটা ও চেঁচরিরামপুর ইউনিয়নে তিন শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। গাছ উপড়ে বিদ্যুতের তার বেশির ভাগই ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া ঘড়বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি।’
উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুতের তার মেরামত চলছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা এখন উপড়ে পড়া গাছ সরিয়ে ছেঁড়া তার জোড়া লাগাচ্ছেন।’ তবে কবে নাগাদ সংযোগ চালু করা হবে সে সম্পর্কে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।
কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. শরীফ মো. ফয়েজুল আলম বলেন, ‘ঝড়ে উপজেলা পরিষদের মধ্যেই একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে তারের ওপর গাছ উপড়ে পড়েছে। আধাঘণ্টার ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
অপরদিকে বজ্রপাতে রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর গ্রামে এক যুবক আহত হয়েছেন। তাঁকে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে।