কাল আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় হাজিরা দিতে আগামীকাল আদালতে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এনটিভিকে টেলিফোনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আগামীকাল ৫ এপ্রিল বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক তিন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আগামীকাল আলিয়া মাদ্রাসার কোর্টে দুটি মামলা আছে। আপনারা জানেন যে, একটা হলো জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, আরেকটা জিয়াউর রহমান অরফানেজ ট্রাস্ট। দুটি মামলায় বেগম খালেদা জিয়া ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে গিয়েছিলেন। তারপরে তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন। আর যান নাই।’
সানাউল্লাহ আরো বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে, আগামীকাল তিনি কোর্টে যাবেন। তাঁর নিরাপত্তার বিষয়টা আমাদের সিনিয়র ল’ইয়াররা ইতিমধ্যেই মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারকে জানিয়েছেন যে, তাঁর নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত করা হয়। আমরা চাই যে, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। যেহেতু বেগম জিয়া যাবেন কোর্টে, নিশ্চয়ই সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’
এ দুই মামলায় সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ পর্যন্ত ৬৩ কার্যদিবসে সাতবার হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আলিয়া মাদ্রাসার অস্থায়ী আদালতে হাজিরা দেন তিনবার।
রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে মামলা দুটির বিচার চলছে।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই শুরু হয়েছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দুটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারছেন না জানিয়ে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। পাশাপাশি সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করারও আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু সময় আবেদন নামঞ্জুর ও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার।
এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে আদালত সেটিও নামঞ্জুর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখেন।
এরপর গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এবং আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এনটিভিকে জানিয়েছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তিনি প্রস্তুত।
তবে এর কয়েকদিন পর গত ৩ মার্চ দুর্নীতির দুটি মামলায় আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করে নিতে আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ওই দিন তাঁর পক্ষে তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে আবেদনটি জমা দেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে জিয়া অরফানেজ ও ২০১১ সালে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ মোট আসামি নয়জন।