‘নিরাপত্তা পেলে’ আদালতে যাবেন খালেদা জিয়া

গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থানরত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’ পেলে আদালতে যেতে পারেন। আজ বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন।
আগামী ৫ এপ্রিল রোববার জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে এ দুটি মামলার বিচার চলছে।
দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাকক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উনি আদালতে যেতে ইচ্ছুক। অতীতেও বলেছি, উনি নিরাপত্তার কারণে আদালতে যেতে পারছেন না। বিগত দিনে যখন আদালতে গিয়েছিলেন পথে তাঁর গাড়িবহরের ওপর আক্রমণ হয়েছিল। এই কারণেই খালেদা জিয়া শঙ্কিত, আমরাও আইনজীবী হিসেবে শঙ্কিত যে উনি আদালতে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হতে পারেন। সে কারণে সরকারের দায়িত্ব হবে তাঁকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া।’
‘নিরাপত্তার বিষয়ে যদি তিনি (খালেদা জিয়া) আশ্বস্ত হন, তাহলে অবশ্যই তিনি সম্মান দেখিয়ে আদালতে উপস্থিত হবেন।’ বলেন খন্দকার মাহবুব।
কী ধরনের নিশ্চয়তা চাইছেন জানতে চাইলে খালেদার আইনজীবী বলেন, ‘ওনার জানমালের নিরাপত্তা। সংবিধানে আছে জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার কর্তৃপক্ষ হলো সরকার... সেই ধরনের নিরাপত্তা।’ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আদালতে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ধরনের নিরাপত্তা খালেদার পাওয়া উচিত, সে ধরনের নিরাপত্তা তাঁকে দিতে হবে বলেও দাবি করেন তাঁর উপদেষ্টা।
যে আদালতে এ দুটি মামলা চলছে বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে অন্য আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টেও একটি আবেদন করেছেন, যার শুনানি এপ্রিলেই হওয়ার কথা।
ওই আবেদনের বিষয়টি উল্লেখ করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘ওই আবেদনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালত- যার প্রতি আমরা অনাস্থা দিয়েছি, তাঁর পক্ষে মামলাটির শুনানি করা নীতিগতভাবে উচিত হবে না।’
লাগাতার অবরোধ ডেকে গত প্রায় তিন মাস ধরে গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। এ সময়ে কয়েকটি ধার্য দিনে আদালতে অনুপস্থিত থাকায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আত্মসমর্পণের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত তুলে ধরে খন্দকার মাহবুব এর আগে বলেছিলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং গুলশানের কার্যালয়ে পুনরায় ঢোকার নিশ্চয়তা পেলেই আদালতে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন।