জিপিএ ৫ পেয়েও অনিশ্চিত আকতারের পড়াশোনা

বাবার মৃত্যুর পর অভাব অনটনের সংসারে নিজেই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। শৈশবে নিজের ও মায়ের পেটের ভাত জোগাতে তাকে কাজ করতে হয় কখনো মাঠে, কখনো ঘাটে কখনো অন্যেও বাড়িতে। একদিন উপার্জন না করলে যে ভাতের চুলা বন্ধ।
তবে জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়েনি আকতার হুসাইন। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে আকতার প্রমাণ করেছে, ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়।
পাবনার সুজানগর উপজেলার আহাম্মদপুর দক্ষিণচর গ্রামের আকতার হুসাইন উপজেলার বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বাবা আজাদ মৃধা মারা যাওয়ার পর আকতারই পরিশ্রম করে নিজের ও মায়ের পেটের ভাত জুটিয়েছে। তারপরও নিজের লেখাপড়ায় ভাটা পড়েনি একটুও। স্কুলে প্রতিদিন ঠিকমতো ক্লাস করতে না পারলেও রাতে পড়াশোনা করত নিয়মিত। কিন্তু ছেলের সাফল্যে মা জামেলা খাতুনের এখন নতুন চিন্তা। ছেলে কীভাবে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করবে, কীভাবে তাঁর সংসারের খরচ চলবে নিয়ে জামেলার চিন্তার শেষ নেই।
মা জামেলা খাতুন বলেন, ‘আমি অসুস্থ তাই কাজ করতে পারি না। আমার ছেলে নিজেই পরের ক্ষেতে কামলা দিয়ে সংসার ও লেখাপড়া চালায়। ছেলে আরো ভালভাবে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হতে চায়।’ সমাজের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে তাঁর ছেলের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষাও পূরণ হওয়া সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
আকতার হুসাইন বলে, ‘আমি দিনমজুরের কাজ করার পাশাপাশি প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা করে পড়াশোনা করতাম। অর্থের অভাবে কোনোদিন প্রাইভেট পড়তে পারিনি। নিজের উপার্জনের অর্থেই এ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি।’ কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিসহ কলেজে লেখাপড়ার যে খরচ তা তার মতো দিনমজুরের পক্ষে কোনোভাবেই মেটানো সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের সুদৃষ্টি দিতে অনুরোধ করেছে সে। (০১৭৪৩-২৬৪৩৪১) এই বিকাশ নম্বরে তাকে সহযোগিতা করা যাবে।