কুতুবদিয়ায় দুজনের মৃত্যু, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কুতুবদিয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। জলোচ্ছ্বাসে জেলার ২০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩০ হাজার বাড়িঘর। ভেঙে গেছে উপকূলের ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।
আজ শনিবার সকাল থেকে রোয়ানুর প্রভাবে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্ট হয়। এ সময় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের আলী আকবর ডেইল, লেমশীখালী, উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং ও কৈয়ারবিল ইউনিয়ন, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া, মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়ন, মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ি ইউনিয়ন, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন ও কক্সবাজার সদরের পোকখালী, গোমাতলী ও চৌফলদণ্ডী ইউনিয়ন এবং কক্সবাজার পৌরসভার বিমানবন্দরসংলগ্ন ১ নম্বর ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার শতাধিক গ্রাম তিন-চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়।
বিকেল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। এ সময় তিনি জানান, জলোচ্ছ্বাসে কুতুবদিয়া দ্বীপের দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মাস্টার ফয়েজুর রহমানের ছেলে ফজলুল হক (৫৫) দুই নৌকার মাঝখানে চাপা পড়ে প্রাণ হারায় আর উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আব্দুর রহিমের ছেলে মো. ইকবাল (২৫) বসতবাড়ির মাটির দেয়াল চাপা পড়ে প্রাণ হারায়।
সংবাদ সম্মেলনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজার উপকূলের বেড়িবাঁধ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।