‘ব্যবস্থা যা যা নেবার নিতে হবে’

বিএনপি-জামায়াত জোট আন্দোলনের নামে জনগণের ওপর তাদের জিঘাংসা চরিতার্থ করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার রাজধানীর উত্তরায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাবের) ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় র্যাবের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে যে আন্দোলন বিএনপি-জামায়াত জোট করে যাচ্ছে সেটা তো আন্দোলন না। মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশের অগ্রগতি রোধ করবার জন্য, একটা জিঘাংসা চরিতার্থ করবার জন্য, মানুষের ওপর প্রতিশোধ নেওয়া, মানুষকে পুড়িয়ে মারা, মানুষের ক্ষতি করা। এভাবে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে যারা মারতে পারে, তারা কখনো দেশের কল্যাণ চাইতে পারে না। মানুষের কল্যাণ চাইতে পারে না। কাজেই কোনোমতেই এটা বরদাস্ত করা যাবে না। এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা যা যা নেবার সকলকেই তা নিতে হবে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে।’
এ সময় দেশে জঙ্গিবাদ দমনে র্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা এবং অসংখ্য জঙ্গি সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতা এখন সীমিত, এ ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। কোনো মতেই বাংলাদেশে আমরা জঙ্গি তৎপরতা চালাতে দেব না। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ।’
তাঁর সরকারের সময়ে র্যাবের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, বাহিনীটির আরো দুটি নতুন ইউনিট গঠন করা হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকা ও সুন্দরবন এলাকার নিরাপত্তা রক্ষায় র্যাবের আওতা বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে এবং এ বছরের প্রথম থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের সময় জনগণের জানমাল রক্ষায় র্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী র্যাবের ছয়টি ইউনিটের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন এবং দুটি ইউনিট ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০০৪ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব। এ বছর প্রতিষ্ঠানটি ১১ বছর পার করে ১২ বছরে পা দিল।