শ্রীনগরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলায় ২ সাংবাদিক আহত
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়িতে আজ শনিবার হামলা চালিয়েছেন যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছবি তুলতে গেলে দুই সাংবাদিককে বেধড়ক পেটানো হয়। তাঁদের মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।
আহত সাংবাদিকরা হলেন দৈনিক ভোরের কাগজের শ্রীনগর প্রতিনিধি অধীর রাজবংশী ও দৈনিক রূপবাণীর শ্রীনগর প্রতিনিধি মীর রাতুল। এর মধ্যে মীর রাতুলকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ছিল শ্রীনগর সদর ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ দিন। বিকেল ৪টার দিকে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোখলেছুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) তাজুল ইসলাম উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এ সময় মোখলেছুর রহমানের লোকজন দাবি করেন, নির্বাচন কার্যালয়ের খুব কাছে তাঁদের আক্রমণের জন্য তাজুল ইসলামের বাড়িতে লাঠিসোটা ও হকিস্টিকসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র মজুদ করা হয়েছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাজুলের বাড়ি তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এরই ফাঁকে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল লস্কর ও দেউলভোগ এলাকার পারভেজের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্সের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা তাজুলের বাড়িতে হামলা চালান ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেন।
এ সময় ওই হামলার ছবি তুলছিলেন সাংবাদিক অধীর রাজবংশী ও মীর রাতুল। তাঁদের ছবি তুলতে দেখে সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপর হামলা চালায় ও ব্যাপক মারধর করে। তাঁদের মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে।
আহত দুই সাংবাদিককে প্রথমে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। রাতুলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শ্রীনগর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সামসুজ্জামান বাবু জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শ্রীনগর থানার ওসিকে। তারা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে।’