বক্তৃতা করতে না দেওয়ায় যুবলীগকর্মীর হামলা
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে তাঁকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন আবদুল আলী হিম নামের এক ব্যক্তি। তিনি একজন যুবলীগকর্মী। স্থানীয় বাসিন্দারা চেনেন যুবলীগ নেতা হিসেবে।
urgentPhoto
আজ শনিবার মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে আবদুল আলী হিম ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে বিদ্যালয়ের ছাত্ররা আবদুল আলী হিমকে একটি কক্ষে আটকে রাখে ও তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ আলী হিমকে আটক করে গাংনী থানাহাজতে রেখেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য না দিতে দেওয়ায় সঞ্চালকের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেন আবদুল আলী হিম। অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হলে বাধ্য হয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেন। এরই জের ধরে আবদুল আলী হিম ও তাঁর লোকজন আজ সকালে বিদ্যালয়ে ঢুকে অফিস ভাঙচুর ও শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। এতে ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে আবদুল আলী হিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয় ও তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে স্থানীয় ভবানীপুর ক্যাম্প পুলিশ আবদুল আলী হিমকে আটক করে গাংনী থানায় পাঠায়।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, ‘যুবলীগের আলী হিমকে আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
ওসি আরো বলেন, ‘আলী হিম এলাকায় ত্রাস ও ভূমিদস্যু নামে পরিচিত। সে এলাকায় ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে বেতবাড়িয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতনের মামলা ছাড়াও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের একাধিক অভিযোগ আছে।’