ভারত বড় প্রতিবেশী, বড় ভাই নয় : বিজেপি
গণতন্ত্র, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান রক্ষার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁওয়ে ভারত-বংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে দুই দিনব্যাপী সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা এ কথা বলেন।
বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের বড় প্রতিবেশী হলেও ভারত বড় ভাই নয়। দুটি দেশের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনের ক্ষেত্রে গণতন্ত্র রক্ষাকেই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
রাম মাধব বলেন, ‘গণতন্ত্রে সব সমস্যার উত্তর আছে। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন এবং এ দেশের গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান রক্ষার জন্য জোরালো চেষ্টা করছেন, এটা বেশ প্রশংসার যোগ্য। এই দেশে গণতন্ত্রকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে তাঁর প্রচেষ্টার প্রতি আমরা আন্তরিকভাবে সমর্থন জানাচ্ছি। এটা সেই সংবিধানেরই বাধ্যবাধকতা যে, গণতন্ত্রকে সমর্থন করতে হবে। সংবিধানের প্রতি আমাদের নিরঙ্কুশ অঙ্গীকার থাকতে হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যৌথ নদীর পানি বণ্টনে ন্যায্য হিস্যার দাবিটি বাংলাদেশর পক্ষ থেকে জোরালো ভাবে তুলে ধরা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘পদ্মা নদীর ওপর আমাদের প্রস্তাবিত গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্পে আমরা ভারতের অংশগ্রহণ আশা করছি।’
বিজেপি নেতা আরো বলেন, ‘সাংবিধানিক ব্যবস্থা, গণতন্ত্র ধ্বংস করার কারো কোনো অধিকার নেই। বাস, জনগণের সম্পত্তি পোড়ানো ও সহিংসতার কোনো অধিকার কারো নেই। আমাদের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য শান্তিই একমাত্র অপরিহার্য উপাদান। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান রক্ষার যে চেষ্টা আপনারা করছেন, এতে সম্পূর্ণরূপে আমার আপনাদের সঙ্গে আছি।’ গণতন্ত্রের মাধ্যমে পাওয়া স্বাধীনতা সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন এই ভারতীয় নেতা।
সংলাপের দ্বিতীয় দিনে নিরাপত্তা, যোগাযোগ ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা গওহর রিজভী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, সাবেক রাষ্ট্রদূত বিনা সিক্রি প্রমুখ।