উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিককে বহিষ্কার করছে সরকার
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোনাসহ আটক উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিক সন ইয়াং ন্যামকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে তাঁকে ফেরত পাঠাতে দূতাবাসকে বলবে বাংলাদেশ।
কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবির খবরে বলা হয়, ওই কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকার তার সিদ্ধান্তের কথা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে জানাবে।
ইউএনবির খবরে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে সরকারের কাছে তিনটি বিকল্প আছে : বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাহার করতে উত্তর কোরিয়াকে জানানো, ওই ব্যক্তির কূটনৈতিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার করা ও দেশের চোরাচালানবিরোধী আইন অনুযায়ী বিচারের মুখোমুখি করা।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৭ কেজি সোনাসহ সন ইয়াং ন্যামকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। ওই দিন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন তিনি। আটকের পর তাঁকে ঢাকায় উত্তর কোরিয়া দূতাবাস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ওই সময় শুল্ক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার কাজী মো. জিয়াউদ্দিন জানান, সন ইয়ান ন্যাম উত্তর কোরিয়ার নাগরিক। তিনি বাংলাদেশে কোরিয়ান দূতাবাসের প্রথম সচিব ও কমার্শিয়াল অফিসার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাস্টমসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ২০১১ সাল থেকে সন ইয়ান ন্যাম বাংলাদেশে কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গত এক মাসে তিনি পাঁচবার বাংলাদেশে আসা-যাওয়া করেন। এর আগেও তাঁর সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের ওই ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করার পরপরই ন্যামকে আটক করেন শুল্ক বিভাগের সদস্যরা। পরে তাঁর হাতব্যাগ তল্লাশি করতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকৃতি জানান। প্রায় দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি হাতব্যাগ তল্লাশি করতে দেন। ওই হাতব্যাগ থেকে ১৭০টি সোনার বার, চুড়ি, গলার চেইন, কানের দুল, ব্রেসলেটসহ ২৭ কেজি সোনা পাওয়া যায়।