পরোয়া করি না : ড. কামাল
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার হুমকিকে পরোয়া করি না। ২০১৫ সালে আমাকে এই হুমকি শুনতে হবে। এটা আমার জন্য, দেশের জন্য এবং যে এ ধরনের শব্দ উচ্চারণ করেছে, তার জন্যও অবমাননাকর।’
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের প্রধান কার্যালয়ে এক সভায় ড. কামাল এ কথা বলেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। জয় ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ড. কামাল হোসেন ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে গ্রেপ্তার করে বিচার করার আহ্বান জানান।
এর আগেও তিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন বিশিষ্ট এই আইনজ্ঞ। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দিতে চেয়েছিল, বিএনপি ২০০৭ সালে আমার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছে, এরশাদও এনেছিল।’
বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, সভায় জয়কে উদ্দেশ করে ড. কামাল বলেন, ‘তিনি কোনো বিষয় সঠিকভাবে না জেনে শিশুর মতো মন্তব্য করছেন। তাঁর মতো লোকের এই ধরনের মন্তব্য করা শোভন নয়। কেউ ভাবতে পারেনি তিনি এই ধরনের কথা বলবেন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
ড. কামাল এ সময় মাহমুদুর রহমান মান্নার ‘সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ কথা কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
গণফোরামের সভাপতি আরো বলেন, ‘আমি দেশে ছিলাম না। ফিরে আসার পর মান্না আমার সাথে দেখা করে মিছিলে যোগ দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আমি তাঁর কাছে কয়েকটি বিষয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম।’ মান্না ও খোকার কথোপকথনের ব্যাপারটির যথোপযুক্ত তদন্ত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. কামাল বলেন, ‘এই সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। তবে একজন আইনজীবী হিসেবে তাঁদের কথোপকথন শুনে বিস্মিত হয়েছি। এই ধরনের রাজনীতি থেকে আমরা অনেক দূরে।’ দেশের অচলাবস্থা নিরসনে সংলাপের বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সংলাপ আর ঐক্য চেয়েছি। সংলাপ যদি নাই হয়, তাহলে এর বিকল্প কী? দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আলোচনা হতেই হবে।’
দুই দলের সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন কিন্তু কখনো বার্ন ইউনিটের আহতদের দেখতে যান না-এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘আমি দু-একদিন পর পরই হাসপাতালে আহতদের দেখতে যাই। কিন্তু আমারও একটি ভুল আছে, আমি ফটোগ্রাফার নিয়ে যাই না। আমি এখন থেকে ফটোগ্রাফার নিয়ে হাসপাতালে যাব এবং সংবাদপত্রকে ছবিগুলো পাঠাব।’