ময়মনসিংহে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাঙচুর
ময়মনসিংহে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে শহরের চড়পাড়া এলাকার দুই শতাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মকর্তারা ভাঙচুরের ঘটনার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের দায়ী করেছেন।
পপুলারের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের একজন ছাত্র সন্ধ্যা ৭টায় পপুলার মেডিসিন কর্নার থেকে ওষুধ নিলেও টাকা দিতে গরিমসি করেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কর্মচারী আবুল কালামকে মারধর করেন ছাত্ররা। এই খবর পেয়ে ব্যবস্থাপক নূর ইসলাম পুলিশকে খবর দেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই কলেজের আরো ছাত্র এসে দ্বিতীয় দফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাঁচের দরজা ও বেশ কয়েকটি কম্পিউটার ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
শাহাদাৎ হোসেন আরো জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনার বর্ণনা শোনেন। ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) সৈয়দ হারুনুর রশিদ বলেন, পপুলার কর্তৃপক্ষ মামলা করলে তা নেওয়া হবে।
এদিকে ঘটনার পর রাত ১১টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও পপুলারের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং ওষুধের দোকান মালিক সমিতির নেতারা সমস্যা সমাধানে বৈঠক করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত হবে আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে। ওষুধ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ইশা বলেন, রোগীদের কথা ভেবে প্রায় দুই ঘণ্টা ধর্মঘট পালন শেষে রাত ১১টায় ওষুধের দোকান আবার খুলে দেওয়া হয়েছে।