সাতসকালে সড়কে ঝরে পড়ল পাঁচ প্রাণ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত নয়জন।
আজ রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাঙরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।
নিহতদের মধ্যে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন। তাঁরা হলেন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে আনোয়ার, খুলনার দীঘলিয়া উপজেলার চন্দ্রের মহলের হাসি খোদেজা ও আসলাম মোল্লা, একই এলাকার সোনাহাটি গ্রামের সালাম মিয়া ও খালিশপুর উপজেলার কাশিপুর গ্রামের নাদের আলীর মেয়ে চায়না।
ওসি আরো বলেন, ‘বাসটি খুলনা থেকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে যাচ্ছিল। গাঙরা এলাকায় একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে হাইওয়ে থানার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক খুদে বার্তায় পরিদর্শক মনজুর আলমের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরো একজন মারা যান।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাশগুলোও সেখানে আছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলেও জানানো হয় থানার পক্ষ থেকে।
এদিকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে অনুদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই বাসটির চালক ও তাঁর সহকারী (হেলপার) পালিয়ে গেছেন।