তফসিলের আগে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মুখে তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতির বিষয়ে অবহিত করতে আজ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন পাঁচ নির্বাচন কমিশনারসহ ইসি সচিব।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বঙ্গভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
কী কী প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হবে—এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তফসিল ঘোষণা-সংক্রান্ত বিষয়ে কথা হতে পারে। আমরা (সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার) সমগ্র নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা বলব। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর থেকে এ পর্যন্ত যতগুলো স্থানীয় নির্বাচন সম্পন্ন করেছি, সেই নির্বাচনগুলো কেমন হয়েছে, নির্বাচনগুলোতে কমিশন কী ধরনের সমস্যাবোধ করেছে এবং কী ধরনের শঙ্কাবোধ ছিল—এসব নিয়ে কথা বলব। নির্বাচনগুলোতে আরো কী কী করা যেত এবং করা উচিত ছিল, এসব নিয়েও কথা হবে।’
এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের বর্তমান যে কাঠামো আছে, সেই কাঠামো কেমন, কাঠামোতে কী ধরনের সুবিধা আমরা পাচ্ছি অথবা কী ধরনের অসুবিধা দেখছি, কাঠামোর কোনো দিক পরিবর্তন করা প্রয়োজন কি না, এ ছাড়া আইন-সংক্রান্ত জটিলতাসহ সংসদ নির্বাচনের সামগ্রিক বিষয়ে প্রস্তুতির কথাও আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানাব। এককথায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের যা যা কথা আছে, সবই বলব।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটারদের ডাটাবেজ করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। প্রতিটি যন্ত্রেরই একটা আয়ুষ্কাল থাকে। ডাটাগুলো যে যন্ত্রে সংরক্ষণ করা, তার আয়ুষ্কাল প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন করে যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। যন্ত্রপাতিগুলোকে প্রতিস্থাপন করতে গেলে বাজেট দরকার। বাজেটের এসব বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমাদের কথা হবে।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও যদি সরকারের সঙ্গে যদি সংলাপে বসার প্রয়োজনীতা বোধ করেন তখন কী করবেন—এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরাসরি সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি না। নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে যদি আমাদের আলোচনা-সমালোচনার দরকার হয়, সে ক্ষেত্রেও আমরা রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতে পারি।’
এর আগে গত ৮ অক্টেবর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও বাকি চার নির্বাচন কমিশনার তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দেয় বঙ্গভবনে। চিঠিতে ২৮ থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চাওয়া হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে জানানো হয়, ১ নভেম্বর বিকেল ৪টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন।