রাজশাহীতে কালবৈশাখী, বজ্রপাতে নিহত ৩
রাজশাহীতে আজ সোমবার আকস্মিক কালবৈশাখীতে আম, লিচুসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃষ্টির পানিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় স্কুল-কলেজ ও অফিসগামী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজশাহীতে কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩০ নটিক্যাল মাইল। ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বজ্রবৃষ্টি। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়া অফিস ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে, যা চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে প্রথম ভারি বৃষ্টিপাত। আর পাঁচ মিনিটের কালবৈশাখীতে আম ও লিচুসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পবা, গোদাগাড়ী, বাঘা, চারঘাটসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চলে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। বেশ কিছু কাঁচা ঘরবাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে।
ঝড়ের সময় বজ্রপাতে নগরীর মতিহার এবং পুঠিয়া ও গোদাগাড়ী উপজেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সকালে বেগুনের জমিতে কীটনাশক প্রয়োগের সময় বজ্রপাত হলে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলী নামের এক কৃষক ঘটনাস্থলেই মারা যান। একই সময় মাঠে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় গোদাগাড়ী উপজেলার আয়নাপুকুর গ্রামের কৃষক বাবলু। এ ছাড়া বজ্রপাতে নগরীর মতিহার এলাকার এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার পরপরই ভারি বর্ষণে নগরীর সাহেববাজার, উপশহর, দড়িখরবোনা, বর্ণালীর মোড়, আমবাগাম, কলাবাগান, লক্ষ্মীপুর, কোর্ট হড়গ্রাম, ষষ্ঠীতলা, শালবাগান এলাকার কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এতে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। নগরীর শালবাগান সপুরা এলাকায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল ও কলেজের সামনের মহাসড়কে হাঁটুপানি পর্যন্ত জমে যায়। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী আনোয়ারা বেগম জানান, সোমবার রাজশাহীতে ঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩০ নটিক্যাল মাইল। সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে ঝড় শুরু হয়। চলে ৮টা ২১ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় বজ্রসহ ভারি বর্ষণ হয়। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে কোথাও শিলাবৃষ্টি হয়নি।