বনানীতে পা হারানো তরুণীর মামলায় বাস চালক কারাগারে
বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসের চাপায় রোজিনা আক্তার নামের এক তরুণীর পা হারানোর মামলায় চালক শফিকুল ইসলাম মুন্নাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ একদিনের রিমান্ড শেষে চালক শফিকুল ইসলামকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার উপপরিদর্শ (এসআই) মিজানুর রহমানের করা এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চালক শফিকুল ইসলামের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ জামিনের আবেদন করেন। সে জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ২৪ এপ্রিল দিন ধার্য করে শফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল চালক শফিকুল ইসলাম মুন্নাকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টায় বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে বিআরটিসির একটি বাস রোজিনা আক্তারকে ধাক্কা দেয়। সে সময় রোজিনা পড়ে গেলে বাসটি তার ডান পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। তখনই রোজিনার শরীর থেকে তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পরে সেই চালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোজিনা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। ওই সময় তাঁর ডান হাতটি বাসের সামান্য বাইরে ছিল। ওই সময় হঠাৎই পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসের গা ঘেঁষে ওভারটেক করার সময় রাজীবের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পথচারীদের সহায়তায় তাঁকে দ্রুত শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।