জাতীয় পরিচয়পত্র : সেপ্টেম্বর থেকে গুনতে হবে টাকা

চলতি মাসের শেষদিন পর্যন্ত ফি ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা নিতে পারছেন সব নাগরিক। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে এ সেবা নিতে গুণতে হবে টাকা। অর্থাৎ নষ্ট বা হারানো পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে গেলে আগামী মাস থেকে নির্দিষ্ট টাকা দিতে হবে।
নির্বাচন কমিশন এত দিন ধরে বিনা পয়সায় নাগরিকদের এসব সুবিধা দিয়েছে। গত ২৫ জুন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফির বিনিময়ে এ সেবা নেওয়ার কথা জানায় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফি নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা দিতে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই।
নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ সেবা পেতে হলে নাগরিকদের ১০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ফি গুনতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়নের ক্ষেত্রে নাগরিকদের (সাধারণ) ১০০ এবং জরুরি ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা ফি দিতে হবে।
এ ছাড়া হারানো বা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে গেলে প্রথম বার (সাধারণ) ২০০ টাকা, জরুরি প্রয়োজনে ৩০০ টাকা লাগবে। দ্বিতীয় বার সাধারণ ৩০০ টাকা, জরুরি প্রয়োজনে ৫০০ টাকা লাগবে। পরবর্তী যেকোনো সময়ের জন্য সাধারণ ৫০০ টাকা এবং জরুরি ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা ফি দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত ফি নির্দিষ্ট খাতে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে অথবা নির্বাচন কমিশনের সচিবের অনুকূলে পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে অথবা কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্ট নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ফি পাওয়ার তারিখ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা সরকারি হিসাবে জমা করতে হবে।
কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ফি নিয়ে সেবা দেওয়ার কথা প্রজ্ঞাপনে থাকলেও এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেই। কোথায় টাকা দেওয়া হবে, কোন বিভাগ-জেলার ভোটার কোন ডেস্কে কাজ করবে, ওয়ান স্টপ সার্ভিস থাকবে কি না, কল সেন্টারের সুযোগ রাখা হবে কি না এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনা কেমন হবে- তা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। কর্মকর্তারা আরো জানান, ৩১ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে যাদের আবেদন জমা পড়বে, তাদের সেবা পেতে টাকা দিতে হবে না।
ফি সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের গেজেটে এ বিষয়ে বলা আছে। এ ছাড়া আমরা যে বিষয়টি যোগ করেছি তা হলো কেউ ইচ্ছা করলে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে ফির টাকা জমা দিতে পারবেন।’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালেহ উদ্দীন আরো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছি। সবাই সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রেজারি চালান করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে অন্য সব ব্যাংকের সঙ্গেও চুক্তি করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।’