সাজাভোগ করার ২৬ বছর পর খালাস পেলেন কাদের
গরু পাচারের দায়ে ১৯৮৭ সালে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় যশোরের আবদুল কাদেরের। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন কাদের। ৩১ বছর পর আজ বুধবার ওই আপিলের শুনানি অনুষ্ঠিত হলো।
এরই মধ্যে পাঁচ বছর জেল খেটে বের হন কাদের। কিন্তু আপিলের শুনানি আর হয় না। সাজা ভোগের ২৬ বছর পর গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে কাদেরের সেই আপিল শুনানির জন্য ওঠে।
হাইকোর্টের রায়ে অবশেষে খালাস পেয়েছেন আবদুল কাদের। অবশেষে মামলাটিরও নিষ্পত্তি হলো।
আজ বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা উল হকের একক বেঞ্চ কাদেরকে খালাস দেন।
এ বিষয়ে আবদুল কাদেরের আইনজীবী কুমার দেবুল দে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘একটি মামলায় আটকের পর কাদেরের পাঁচ বছরের সাজা ভোগের পর ২৬ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। আজকে আপিল নিষ্পত্তির পর এখন হয়তো উচ্চ আদালতের এই খালাসের রায় আবদুল কাদেরের মনে অর্থবহ কোনো আবেদন সৃষ্টি করবে না।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, অবৈধভাবে ভারত থেকে ছয়টি গরু আনার অভিযোগের বিচারিক আদালতের রায়ে ১৯৮৭ সালে যশোরের আবদুল কাদেরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই বছর তৎকালীন (এরশাদের আমলে) যশোর হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আপিল করেন কাদের। এক সময় দেশের বিভাগীয় হাইকোর্ট বিলুপ্ত হলে ওই মামলা ঢাকার হাইকোর্টে আসে। ততদিনে পাঁচ বছরের সাজা খেটে বের হন কাদের। কিন্তু খালাস চেয়ে তাঁর করা আপিল তখনও শুনানি হয়নি। ৩১ বছর পর হাইকোর্টে কাদেরের আপিল শুনানির জন্য ওঠে। আদালত সমন জারি করে কাদেরের বিরুদ্ধে। সমনের কাগজ পেয়ে কৃষক কাদের তো হতবাক। এত বছর পর পুরোনো ঘা আবার কীভাবে জাগল। উত্তর খুঁজতে হাইকোর্টের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরতে থাকেন কাদের।
অবশেষে বিচারিক আদালতের রায়ের ৩১ বছর পর গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে সেই আপিলের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ আব্দুল কাদেরকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবী কুমার দেবুল দে।