তনু হত্যার দুই বছর, আটক হয়নি কেউ
তনু হত্যার দুই বছর পূর্ণ হলো আজ সোমবার (২০ মার্চ)। দুই বছর আগে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল সারা দেশ। এক সময় আবার সব শান্তও হয়ে যায়। কিন্তু শান্ত হতে পারেননি তাঁর মা। ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাতে হয় তাঁকে।
দুই বছর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করা হয়। তবে এত দিন পরও তনুর হত্যাকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ প্রাইভেট পড়ানোর জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তনু। এরপর আর বাসায় ফেরেননি তিনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ময়নামতিতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের সামনে থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন ২১ মার্চ তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
চারদিন এ মামলার তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পরে ২৫ মার্চ মামলা স্থানান্তর করা হয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে। ডিবি চারদিন মামলার তদন্ত চালায়। এরপর ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় মামলাটি স্থানান্তর করা হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডিতে)। তনুর লাশে ময়নাতদন্ত করা হয় দুইবার।
সিআইডি জানিয়েছে, ল্যাবরেটরিতে তনুর ডিএনএ টেস্ট হয়। সেখানে কাপড়চোপড় পরীক্ষা করে তিনজনের শুক্রাণু পাওয়া যায়।
তবে তদন্তের নামে পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তনুর বাবা ইয়ার হোসেন।
এদিকে, তনু হত্যার বিচার দাবি করে আজ মঙ্গলবার নিজেদের কলেজ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের আটক করে বিচারের আওতায় আনা হোক। একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ভিক্টোরিয়া কলেজের নাট্যকর্মীরাও। তনু এ নাট্যদলের সদস্য ছিলেন।
কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম জানান, দুই বছরেও এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। তিনি ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন।
এদিকে, দুই বছর আগে কুমিল্লা মহানগরীসহ সারাদেশ উত্তাল হয়ে পড়ে। তনুর হত্যাকারীদের আটক ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে সর্বস্তরের মানুষ। এমনকি শিশুরা পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আসে।