খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার নির্ভর করছে তদন্ত কর্মকর্তার ওপর
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে হামলার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নির্ভর করছে তদন্ত কর্মকর্তার ওপর।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তরে আইজিপি সাংবাদিকের এসব কথা জানান। ওই হামলার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইজিপি বলেন, ‘পর্যাপ্ত সাক্ষী-প্রমাণের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা চাইলে (খালেদা জিয়াকে) গ্রেপ্তার করতে পারবেন। তাঁদের কাছে কোনো সহযোগিতা চাইলে তাঁকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।’ তিনি আরো জানান, বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন, তাদের অনেককেই চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা বাকি রয়েছে। এদের মধ্যে যাঁরা অর্থদাতা এবং নির্দেশ প্রদানকারী তাঁদের নামও অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আলোচনা করেন শহীদুল হক। যেসব এলাকায় পেট্রলবোমা হামলার মতো সহিংস ঘটনা ঘটছে, সেসব এলাকার জনগণকে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার কথাও বলেন আইজিপি।
মহাসড়কে যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে মহাসড়কে গাড়ি চলাচলে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না। আজ সকালে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৫৪ হাজার গাড়ি আসা-যাওয়া করেছে।’
হিযবুত তাহরিরকে আইএসের মতো বাংলাদেশের জন্য হুমকি মনে করেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিযবুত তাহরিরকে আইএসের মতো হুমকি মনে করে না। র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা হিযবুত তাহরিরকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করেন তিনি।
বন্দুকযুদ্ধ প্রসঙ্গে শহীদুল হক বলেন, ‘পুলিশ বা র্যাব যখন কোনো অভিযানে যায়, তখন তাদের ওপর হামলা হলে সাধারণ মানুষের মতো তাদেরও আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হয়। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তা তদন্ত করা হবে।’