সেতু দেবে ভোগান্তিতে নিকলী-করিমগঞ্জবাসী
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় নরসুন্দা নদীর ওপর নির্মিত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতুর পিলার দেবে গেছে; ঝুলে গেছে দুটি গার্ডার। এ কারণে ১৯৮৬ সালে নির্মিত ৩৯ মিটার এ সেতু ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে করিমগঞ্জের জয়কা ও গুণধর ইউনিয়নসহ নিকলী উপজেলার অন্তত ৫০ গ্রামের বাসিন্দারা।
কিশোরগঞ্জ-মরিচখালী সড়কের বারুক বাজারে অবস্থিত সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর দুই পাড়ে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে সেতুটির পশ্চিম দিকের একটি পিলার হঠাৎ অন্তত দুই ফুট দেবে যায়। তখন এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে পিলারটি ধীরে ধীরে আরো দেবে যাচ্ছে। ফলে পিলারের ওপর বসানো গার্ডারগুলো ঝুলে যাচ্ছে। ফাটল দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। যেকোনো সময় এগুলো পানিতে পড়ে যেতে পারে। খবর পেয়ে করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জয়কা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হাদিস মিয়া জানান, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয় লোকজন ছোটখাটো যানবাহনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। তারা কোনো বাধানিষেধ মানছে না। এ কারণে যেকোনো সময় ভয়াবহ বিপদ ঘটতে পারে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, এখানে জরুরি ভিত্তিতে একটি বেইলি সেতু স্থাপন করে যানবাহন ও লোকজনের পারাপারের ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত। পরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে ফেলা হবে, না নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে—তা নিয়ে ভাবতে পারে কর্তৃপক্ষ।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ দেবে যাওয়ায় আপাতত সেতুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেতুটি কেন এভাবে দেবে গেল, তা ভালোভাবে খতিয়ে না দেখে সুনির্দিষ্টভাবে বলা ঠিক হবে না। আমরা এখন লোকজনের দুর্ভোগ কীভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে ভাবছি।’
করিমগঞ্জের ইউএনও আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহিন জানান, সেতুটি দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ দল আসছে। তাদের সিদ্ধান্তমতে কাজ করা হবে। এ বিষয়ে দ্রুত একটি প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, শ্রম ও কর্মস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুকেও জানানো হয়েছে।