হজযাত্রী সংকটের ব্যাখ্যা দিলেন মন্ত্রী
সৌদি আরবে পবিত্র হজে যেতে ইচ্ছুক ২৫ হাজার বাংলাদেশির যাত্রা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এর একদিন পর এ নিয়ে সৃষ্ট সংকটের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
আজ বুধবার সচিবালয়ে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী সংকটের জন্য চারটি বিষয়কে দায়ী করেন।
দুপুরে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাশেদ খান মেনন। এতে পর্যটন মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বিভিন্ন হজ এজেন্সির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, হঠাৎ করে সৌদি আরব হজযাত্রীদের মোয়াল্লেম (প্রতি হজযাত্রীর জন্য সৌদি সরকারের মাথাপিছু নির্ধারিত অর্থ) ফি দ্বিগুণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৫ ও ২০১৬ সালে হজ করার পর এ বছর নিবন্ধন করা ব্যক্তিদের দুই হাজার ডলার করে অতিরিক্ত ফি চাওয়া হচ্ছে। সৌদি আরব ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করেছে, যাতে অভ্যস্ত নন বাংলাদেশের নাগরিকরা। আর যেসব হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে, তাঁরাও সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারছেন না।
উল্লিখিত এসব কারণেই এ বছর বহু হজযাত্রীর সৌদিযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বিমানমন্ত্রী বলেন, এ সংকট দূর করতে মন্ত্রণালয় কর্মপন্থা ঠিক করেছে। দু-একদিনের মধ্যে সমাধান না হলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে। তবে তিনি সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আরো জানান, এ পর্যন্ত ৯০ হাজার হজযাত্রীর পাসপোর্ট অনুমোদন করেছে সৌদি দূতাবাস। এর মধ্যে ৪৫ হাজারের ভিসা নিশ্চিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যেও পাঁচ থেকে সাত হাজার হজযাত্রী সৌদিতে যেতে পারেননি। এ কারণেই হজ ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে।