খুলনা নগরের শিরোমণি এলাকায় লাঠিপেটা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান। 

আজ সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মিজানুর রহমান এ দাবি জানান এবং পুলিশের এই ‘নৃশংস হামলার’ ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন এবং বুধবার সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। 

সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের লাঠিপেটা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল রোববার খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) বরাদ্দ করা প্লটে স্থানীয় লোকজন নির্মাণকাজ শুরু করলে আর্মড পুলিশ বাধা দেয় এবং তাঁদের ওপর লাঠিপেটা করে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা মিছিল বের করলে আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের সদস্য গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় দুই ফটো সাংবাদিকসহ ৫০ জন আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। 

মিজানুর রহমান বলেন, শুধু হামলা নয় সাদা পোশাকে আর্মড পুলিশ শিরোমণি বাজারে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা, ট্যাব, মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে। তিনি পুলিশের এই নৃশংস ঘটনাকে স্মরণকালের  চরম বর্বরতা আখ্যা দিয়ে বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই আর্মড পুলিশ এই কাজ করেছে। তিনি দ্রুত আর্মড পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে খুলনা থেকে প্রত্যাহার এবং দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করেন।

অন্যথায় বুধবারের পর লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান।

একই সঙ্গে সংসদ সদস্য বলেন, এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে মহানগর আওয়ামী লীগ।

এ ব্যাপারে আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ সুপার কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রোববার বিরোধপূর্ণ জমিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নির্মাণকাজ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ের গেটে হামলা করলে পুলিশ ১১টি গুলিবর্ষণ করে।’ 

এদিকে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ও রাতে আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েক দফা সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি জানান, জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।