এমপির ভাইয়ের নেতৃত্বে ঘের দখলের অভিযোগ

খুলনায় আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্যের ভাই পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৩০০ বিঘা আয়তনের একটি মাছের ঘের দখল করে নিয়েছেন। এই অভিযোগ করে আজ শনিবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন গ্রামবাসী ও জমির মালিক দাবিদার ব্যক্তিরা। তাঁরা মাছের ঘের ফিরে পেতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। একই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় বটিয়াঘাটার আমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জবিউল্লাহ বলেন, ১৯৯৫ সালে সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করে গ্রামবাসী তেঁতুলতলা, শেওলাবুনিয়া ও ঘোষখালী এলাকার ৩০০ বিঘার ঘের নিজেরাই পরিচালনা শুরু করেন। খুলনার তালিকাভুক্ত শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী গোলাম মাওলা শানুও এই ঘেরটি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বর্তমানে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই এস এম মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা দখল করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসী যেন ঘেরটি দখল করে নিতে না পারে সে জন্য ঘেরটির আশপাশের সব রাস্তা তারা কেটে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ঘেরটি খুলনা-১ আসনের এলাকাধীন হলেও তা খুলনা-৪ আসনের সীমানায় অবস্থিত। ফলে আসামি ধরার অজুহাতে গত ২ জুলাই রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে দোজা ঘেরটি দখল করে নেন। রূপসা থানার ওই ওসি দোজার ভাইয়ের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ঘের দখলের বিষয়টি অস্বীকার করে রূপসা থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘আসামি ধরতে তদন্ত কর্মকর্তারা যেতে পারেন। ওই এলাকায় রূপসা থানার দুটি মামলার আসামি রয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশ সেখানে যেতে পারে।’ তবে তিনি যাননি বলে দাবি করে বলেন, ‘আমি ছুটিতে রয়েছি।’
সংসদ সদস্যের ভাই মোয়াজ্জেম রশিদী দোজা বলেন, ‘এই ঘের আমার নামে নয়। এর সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। ফলে ঘের দখলের প্রশ্নই আসে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘গোলাম মওলা শানু যাদের নামে ঘেরটি লিখে দিয়েছিলেন, তাঁরাই ঘেরের দখলে ছিলেন। এক মাস আগে জামাল-আনু বাহিনী ঘেরটি জোর করে দখলে নেন। পরে ঘের থেকে যাদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তাঁরা পুনরায় ঘেরটি দখলে নিয়েছেন।’