দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি মুলতবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত পুনরায় মুলতবি করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি শেষে তা মুলতবি করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী এবং অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, খালেদা জিয়া এ মামলার প্রধান আসামি। তিনি এর আগে মামলা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সব শুনানিতে অংশ নিয়েছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী আসামীর উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করতে হয়। অন্যথায় সাক্ষ্যগ্রহণ অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়। এ ছাড়া ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৩৯ বি (২) ধারা অনুযায়ী, বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন খালেদা জিয়া সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আবার তাঁর অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণও করেন। এতে একই আদালতে দুই রকম আদেশ ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এ সময় এ জে মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আসামির উপস্থিতিতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের নিয়ম রয়েছে। একপর্যায়ে আদালত শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
গত ২৫ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন নাকচ করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিভিশন আপিল আবেদন করেন। সেই আপিলের ওপরেই আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এ মামলায় সাক্ষ্য দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হারুনুর রশীদ।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগ গঠনের আগে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। অপর আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার আমলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।