খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি মুলতবি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এক ঘণ্টা শুনানি শেষে তা মুলতবি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।
দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী আসামির উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে হয়। অন্যথায় সাক্ষ্যগ্রহণ অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়।
এ ছাড়া বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন খালেদা জিয়া সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। আবার তাঁর অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণও করেন। এতে করে একই আদালতে দুই রকম আদেশ ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৩৯ বি (২) ধারা অনুযায়ী সাংঘর্ষিক।
এ জে মোহাম্মদ আলী আরো বলেন, ‘আমি আগামীকাল ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আসামির উপস্থিতিতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের মামলার নজির তুলে ধরব।’
গত ২৫ মে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়া আবেদন নাকচ করা হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিভিশন আপিল আবেদন করেন। সেই আপিলের ওপরেই আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এ মামলায় সাক্ষ্য দেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক হারুনুর রশীদ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেন ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্ত শেষে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগ গঠনের আগে মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করেন হাইকোর্ট। গত বছর ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া ও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
অপর আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার আমলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।