‘প্রেমের নামে উত্ত্যক্তের জেরে চবি ছাত্র খুন’, গ্রেপ্তার ৪
প্রেমের নামে প্রতারণা ও উত্ত্যক্তের জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলাউদ্দিন হত্যার অভিযোগে দম্পতিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন সংবাদ সম্মেলনে জানান, চারজনকে চট্টগ্রাম ও ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চার আসামি হলেন মো. ইকবাল হোসেন, তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার রুম্পা, দুই সৎ ভাই মোহাম্মদ তৈয়ব ও মোহাম্মদ হেলাল।
এ ঘটনায় মাসুদ নামের একজন পলাতক আছেন বলেও জানান ওসি। তিনি জানান, আটক চারজনের মধ্যে গত সোমবার রাতে ইকবালকে রাউজান উপজেলার হিঙ্গলায় তাঁর খালার বাড়ি থেকে স্ত্রীসহ আটক করা হয়। তাদের তথ্যে মতে, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলা থেকে তৈয়ব ও হেলালকে আটক করা হয়।
গত ২২ মার্চ নগরীর বায়েজিদ থানা শহীদ নগর এলাকার ওমান প্রবাসী আবু ছৈয়দ মালিকানাধীন চারতলা বাড়ির তিনতলা ফ্ল্যাট থেকে আলাউদ্দিনের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরের দিন বিকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের আলাউদ্দিনের বাবা ও ভাই গিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় পর বায়েজিদ থানায় মামলা করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার আবদুল ওয়ারীশ জানান, ২০০৭ সালে হাটহাজারীতে গৃহশিক্ষক হিসেবে অষ্টম শ্রেণির রুম্পাকে পড়ানো শুরু করেছিলেন আলাউদ্দিন। কিছুদিন পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় রুম্পার সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিও তোলেন আলাউদ্দিন। আর এসব ঘনিষ্ঠ ছবি আর ভিডিও দিয়েই দিনের পর দিন রুম্পাকে ব্ল্যাকমেইল করে আসছিলেন তিনি। এর ফলে বিয়ে হওয়ার পরও স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে আসতে হয় রুম্পাকে। এরপর ২০১৬ সালের জুলাই মাসে রুম্পা আবার বিয়ে করেন। এরই মধ্যে চলতে থাকে আলাউদ্দিনের অত্যাচার। পরে রুম্পার দ্বিতীয় স্বামী বিস্তারিত জেনে আলাউদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
নিহত আলাউদ্দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি হাটহাজারীর মদন হাট এলাকায়।