কসবা থেকে অপহৃত শিশু ভৈরব থেকে উদ্ধার
মুক্তিপণের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে অপহৃত চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী পূজা রানী সাহাকে (১০) ভৈরব থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে উদ্ধার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় অপহরণের অভিযোগে ওই শিশুর দূরসম্পর্কের চাচা সবুজ সাহাকেও (৩২) আটক করা হয়।
ভৈরব র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. সোহেল হাসান এনটিভি অনলাইনকে জানান, গতকাল কুটি-চৌমুহনী এলাকার খোকন সাহার মেয়ে পূজাকে বিস্কুট কিনে দেওয়ার কথা বলে তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে বের হয় খোকনের দূরসম্পর্কের ভাই সবুজ। পরে মেয়েটিকে স্থানীয় বাজারে নিয়ে যায় সে। সেখান থেকেই মুক্তিপণ চেয়ে খোকন সাহার কাছে ফোন করে সবুজ। অপহরণকারী সবুজ অপহৃত শিশু পূজাকে নিয়ে ভৈরব হয়ে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তাদের বহনকারী একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ ১১-৫০৯৬) জব্দ করা হয়।
গত রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পে ডাকা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি আবু সাঈদ জানান, বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি-চৌমুহনী এলাকার খোকন সাহার মেয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পূজাকে অপহরণ করে সবুজ। পরে সন্ধ্যায় মুক্তিপণ হিসেবে মোবাইল ফোনে ২৫ হাজার টাকা বিকাশ করার দাবি জানায় সে। টাকা না দিয়ে বিষয়টি খোকন সাহা র্যাবকে জানালে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে পূজাকে নিয়ে সড়কপথে ভৈরবের দিকে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হয় র্যাব।
পরে ভৈরব হয়ে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের দুর্জয় মোড়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি আটক করতে সক্ষম হয় র্যাবের একটি দল।