ভ্রুণ হত্যাচেষ্টার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন, শিশুর ব্যয়ভার সরকারের
বরিশালে ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় জন্ম নেওয়া শিশুর ২১ বছর বয়স পর্যন্ত যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে কাগজপত্র যাবে এবং জেলা প্রশাসনই কার মাধ্যমে কীভাবে শিশুটির ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করা যায়, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে।
আজ বুধবার বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক শেখ আবু তাহের আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত বজলুর রহমান হাওলাদারের (৩০) বরিশালের ইছাগুড়া এলাকায়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী জানান, ইছাগুড়া এলাকার মামলার বাদীর (২৬) সঙ্গে প্রতিবেশী বজলুর রহমান হাওলাদারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বজলুর বাদীকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তখন বিয়ের জন্য বলা হলে বিয়ের পোশাক কেনার কথা বলে বজলুর বাদীকে বরিশাল নগরীতে এনে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন এবং ভ্রুণ হত্যার কথা বলেন।
কিন্তু বাদী কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে বজলুর রহমান তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় ২০১১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই তরুণী বাদী হয়ে বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করেন।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ওই বছরের ৩ এপ্রিল বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় সাতজনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আজ বিচারক এ মামলার রায় দেন। কন্যাশিশুটির বয়স এখন চার বছর। শিশুটির ২১ বছর না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণ-পোষণের ব্যয়ভার বহনের জন্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।