আশুগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে রতন মিয়া (৩২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার রাতে ধানক্ষেতের নাড়া কাটাকে কেন্দ্র করে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে মঞ্চরের বাড়ির আহাম্মদ আলীর বাড়ির সাদেক মিয়ার সাথে বাড্ডিবাড়ির রতনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় এই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই রতন মিয়া টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় অন্তত ৩০ জন আহত হয়। urgentPhoto
এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঁরা হলেন জেসমিন আক্তার (৩০) রোকেয়া বেগম (৪৫) ও সালাম মিয়া (৫০)।
এদিকে বাড্ডির রতন মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মঞ্চরের বাড়ির লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে বাড্ডির বাড়ির লোকজন মঞ্চরের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, টিভি, ফ্রিজ, আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলে মঞ্চরের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন।
মঞ্চরের বাড়ির শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, ‘রতন মারা যওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গ্রেপ্তারের ভয়ে আমাদের বাড়ি পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। এ সুযোগে বাড্ডির বাড়ির লোকজন রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর, লুটপাট ও নারীদের শ্লীলতাহানি করে। এখন মঞ্চরের বাড়ির নারীরা সবাই আবারও হামলার ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।’
জেসমিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নারীদের নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন বাড্ডির বাড়ির লোকেরা। সেখানকার বাসিন্দা মালু মিয়া জানান, ‘আমরা কারো বাড়িতে হামলা করিনি। আমরা সংঘর্ষে নিহত আমাদের ছেলে রতনের লাশ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে চলে আসি। কে আক্রমণ করেছে বা লুট করেছে তা আমাদের জনা নেই।’ রতন হত্যার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
বর্তমানে তাজপুর গ্রামে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।