কিশোরগঞ্জে নৌ-ডাকাতির ৩ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা ইটনার কাটাখাল নদীতে গত মঙ্গলবার নৌ-ডাকাতির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যবসায়ীর লাশ তিনদিন পর আজ শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ী নূরুল আলম (৪৮) ঢাকার হাতিরপুল এলাকার বাসিন্দা।
ইটনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া গ্রামের কাছে ধনু নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় নূরুল আলমের লাশ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া এই ঘটনায় ডাকাতদের গুলিতে আহত নান্টু (৪০) কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে এবং আরমান (১৩) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার হাতিরপুলের বাসিন্দা লিয়াকত আলীর মেয়ে রুপা আক্তারের সঙ্গে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের করমশি গ্রামের আবদুল গনি ইম্মত মিয়ার ছেলে স্কুলশিক্ষক মুর্শেদ ইসলামের বিয়ে হয়। গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কনেপক্ষের লোকজন মুর্শেদ ইসলামের বাড়িতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান। সন্ধ্যার দিকে নববধূসহ প্রায় ৪০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি করিমগঞ্জের চামটা বন্দরের দিকে রওনা দেয়। সেখান থেকে সড়কপথে তাদের ঢাকায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইটনা উপজেলার এলংজুড়ি ইউনিয়নের কাটাখাল নদীতে পৌঁছার পর একদল ডাকাত হামলা চালায়। ডাকাতরা নৌকার যাত্রীদের কাছ থেকে ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার, ২০টির মতো মুঠোফোন ও প্রায় দুই লাখ টাকা লুটে নেয়।
ডাকাতির সময় দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও নৌকা থেকে পানিতে পড়ে গিয়ে ব্যবসায়ী নূরুল আলম নিখোঁজ হন। তিনদিন ধরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদলসহ স্থানীয় লোকজন নূরুল আলমের সন্ধান চালিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় নূরুল আলমের ভাই শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনকে আসামি করে ইটনা থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন।
তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি বলে জানিয়েছেন ইটনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান।