মোটরসাইকেল ছিনতাই, পালানোর সময় কাউন্সিলরকে গণপিটুনি
মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম শামীমকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ ঘটনায় শামীমের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন। সন্ধ্যায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলা শহরের হারুয়া এলাকার বাসিন্দা শামীম কিশোরগঞ্জ পৌরসভার টানা তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে জানা যায়, আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার কাতিয়ারচর এলাকার মাদ্রাসাশিক্ষক মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়ক দিয়ে নান্দলা এলাকার বড়িবাড়ি এতিমখানা মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। এ সময় নতুন জেলখানা এলাকায় কাউন্সিলর শামীম তাঁকে লিফট দিতে বলেন। মিজানুর রহমান শামীমকে মোটরসাইকেলে তুলে নেন। বিন্নাটি মোড়ের কাছাকাছি যেতেই শামীম একটি রড দিয়ে পিটিয়ে মিজানুর রহমানকে নামিয়ে দিয়ে তাঁর মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। মিজানুর রহমানের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে শামীমকে আটক করে বেদম পিটুনি দেয়। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শামীমকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় বিকেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কাউন্সিলর শামীমকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। সন্ধ্যায় শামীমকে বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠানো হলে বিচারকের নির্দেশে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া শামীমের বিরুদ্ধে বহু আগে থেকেই খুনসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল। গত বছরের ২৮ জুন শামীম পৌরসভার সার্ভেয়ার আজিজুল হক রুকনকে তাঁর কক্ষে গিয়ে হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পৌরসভার কর্মচারী সংসদ ধর্মঘট পালন করে।