ভৈরবে পৃথক সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত অর্ধশত
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার পঞ্চবটী ও লুন্দিয়া গ্রামে আজ মঙ্গলবার পৃথক দুই সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ কমপক্ষে অর্ধশত লোক আহত হয়েছে। আট-১০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কমপক্ষে ৩০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এই ঘটনায় পুলিশ হৃদয় (১৮) ও জাকারিয়া (২৪) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষ থামার পর আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুরের ভাগলপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করেছেন তাঁদের স্বজনরা।
পঞ্চবটী এলাকার সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভৈরব শহরের পঞ্চবটী ও দক্ষিণ জগন্নাথপুর এলাকার দুই দল গ্রামবাসী এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের ৩০ থেকে ৩৫ জন আহত হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে মাথায় ইটের আঘাতে জিটিভির ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম ও উরুতে আঘাত পেয়ে আহত হন সময় টিভির মো. ফজলুর রহমান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ সময় পুলিশ কমপক্ষে ৩০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। খবর পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অপরদিকে আজ সকাল ১০টার দিকে ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া গ্রামে ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সাদেক ও সাধারণ সম্পাদক আনিস মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বাতেন মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে আট থেকে ১০টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে প্রতিপক্ষ। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই দুটি পক্ষ গতকাল সোমবার বিকেলে সংঘর্ষে লিপ্ত হলে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।