স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা : ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তিন তরুণকে
ঢাকার ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আটক তিন তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল শুক্রবার ছেড়ে দিয়েছে কলাবাগান থানা পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ।
আজ শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিউমার্কেট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইহসানুল ফেরদৌস এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
এডিসি বলেন, ‘আমরা নানাভাবে ওই তিন তরুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এখনো পর্যন্ত তাদের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। গতকাল তাদের অভিভাবকরা এসেছিলেন। তারা মুচলেকা দিয়ে ওই তিন তরুণকে নিয়ে গেছে। তবে এরপরও যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাদেরকে পুনরায় হেফাজতে নেওয়া হবে।’
এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামি ফারদিন ইফতেখার ওরফে দিহান গতকাল শুক্রবার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন দিহান। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ওইদিন দিবাগত রাতে নিহত ছাত্রীর বাবা কলাবাগান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলা করেন।
আসামি দিহানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আসামির মা বাসায় না থাকায় সুযোগ পেয়ে ভুক্তভোগীকে কলাবাগানের ওই ফাঁকা বাসায় ডেকে নেওয়া হয়। এরপর জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়। পরে ওই শিক্ষার্থীর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়।
শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ওই শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সে এ বছর ‘ও’ লেভেল পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নেয় বন্ধুরা। তারপর ফোন করে ছাত্রীর মাকে জানানো হয়, সে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেছে। এরপর ছাত্রীকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছাত্রীর মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, মেয়ের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর ধারণা, মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।