শ্রমিকদের চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার করাচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিভিন্ন গার্মেন্ট ও কলকারখানার শ্রমিকদের চলাচলে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার করাচ্ছে সরকার। শ্রমিকদের যাওয়া, ফিরে আসা নিয়ে লেজে-গোবরে অবস্থা করে ফেলেছে। তাদের জীবনের যেনো কোনো মূল্য নেই।’
আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ভাগ্যের কথা সারা বিশ্বেই এখন রাজনীতি আর সেভাবে ভালো নেই। সময়টা আসলে নষ্ট সময়, খারাপ সময়। এখানে রাজনীতির ক্ষমতাই হয়ে গেছে চূড়ান্ত, অর্থ উপার্জন করাটাই হয়ে গেছে চূড়ান্ত। সত্যিকার অর্থে একটা সমাজ, রাষ্ট্র নির্মাণ করার যে গুরুদায়িত্ব রাজনীতিবিদদের প্রতি আছে, সেটা থেকে কিন্তু এখন তারা বিচ্যুত হয়ে আসছে।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছি। সমগ্র বিশ্ব করোনা মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ভয়ংকরভাবে আক্রান্ত হয়েছে। দুর্ভাগ্য এই যে, আমাদের জন্য যারা অর্থ উপর্জন করে এনে দেয়, আমাদের গার্মেন্টের শ্রমিকেরা, কলকারখানার শ্রমিকেরা, তাদের চূড়ান্তভাবে ভোগান্তির শিকার করাচ্ছে আজকের সরকার। শ্রমিকদের কাজে যাওয়া, ফিরে আসা, কী একটা লেজে-গোবরে অবস্থা করে ফেলেছে। তাদের জীবনের যেনো কোনো মূল্য নেই। এই কথাটা জাতীয়ভাবে অনেকটাই গুরুত্ব পেয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখেছে, যে এদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? যখন ইচ্ছে বললাম বাড়ি চলে যাও, আর সে সংক্রমিত হয়ে চলে গেল। আবার বললাম ফিরে এসো। ময়মনসিংহ, মানিকগঞ্জ থেকে, মুন্সিগঞ্জ থেকে পায়ে হেঁটে শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসছে। দিস ইজ ঠু মাচ। এখনই সময় এগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। এই যে ভয়াবহ দানবীয় সরকার, বিনা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে এসে আমাদের বুকের উপরে চেপে বসে আছে। তাদের সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক ও জনগণের সরকার, যাদের জবাবদিহিতা থাকবে জনগণের প্রতি সে ধরনের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাই কাজ করতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও আব্দুল মান্নানের মেয়ে ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।