গ্রিন রোডের সেই নারীর হত্যারহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা সেই পরিচয়হীন নারীর হত্যারহস্য উন্মোচিত হয়েছে এবং সন্দিগ্ধ হত্যাকারীকে আটকও করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আনসার আলী। তিনি স্থানীয় একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী হিসেবে চাকরি করতেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নবগঠিত রমনা গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গ্রিন রোড থেকে আনসার আলীকে গ্রেপ্তার করে।
রমনা ডিবির জোনাল টিমের নেতৃত্বে থাকা অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মিশু বিশ্বাস পিপিএম জানান, গত শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টায় গ্রিন রোড এলাকার পাকা রাস্তার পাশে এক অজ্ঞাতনামা নারীর (৪০) মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন। মরদেহের নাক-মুখ দিয়ে কালচে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল, শরীরের কামিজ ছেঁড়া, গলায় ওড়না ও পাটের সুতা দিয়ে গিঁট দেওয়া ছিল।
মিশু বিশ্বাস বলেন, অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন করতে থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়াতদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা বিভাগ। আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ির নৈশপ্রহরী আনসার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা মিশু বিশ্বাস পিপিএম আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃত আনসার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিকিউরিটি গার্ডের ডিউটিরত থাকা অবস্থায় মেয়েটি গেটের কাছে এলে তাঁর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন আনসার আলী এবং একপর্যায়ে আনসার আলী ওই নারীকে বাথরুমে নিয়ে যান। কিন্তু ‘অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়’ নিয়ে দুজনের কথাকাটাকাটি হলে একপর্যায়ে আনসার আলী ওই নারীর গলা চেপে ধরেন এবং বাথরুমের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা মারেন। আঘাতে মুখ ও গাল থেকে রক্ত বের হয়ে বাথরুমেই মৃত্যুবরণ করেন ওই নারী। আনসার আলী রাতেই মরদেহের গলায় ওড়না ও পাটের রশি পেঁচিয়ে টেনে নিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আনসার আলী স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।