করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন পরিচালক মহিউদ্দীন ফারুক

করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প নির্দেশক মহিউদ্দীন ফারুক। আজ দুপুরে ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
গত দুদিন ধরে সর্দি ও জ্বরে ভুগছিলেন মহিউদ্দীন ফারুক। তবে শ্বাসকষ্ট ছিল না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না, তা পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
স্ট্যাম্পফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়ার বিভাগের প্রধান ছিলেন মহিউদ্দিন ফারুক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাংগঠনিক সচিব কবিরুল ইসলাম রানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ দুপুরে ১২টার দিকে মহিউদ্দিন ফারুক ভাই মারা যান। গত দুদিন ধরে তিনি সর্দি ও জ্বরে ভুগছিলেন। ঢাকার একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাও নেওয়া হয়েছিল।’
করোনাভাইরাস ছিল কি না, জানতে চাইলে রানা বলেন, ‘এখনো বিষয়টি নিশ্চিত নয় যে তিনি করোনায় মারা গেছেন। বিষয়টি জানার জন্য আইইডিসিআর ফারুক ভাইয়ের শরীর থেকে নমুনা নিয়ে গেছে। আগামীকাল রেজাল্ট পাওয়ার পর জানা যাবে আসলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না।’
তবে পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করেই দাফনের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে রানা বলেন, ‘এখনো আমরা হাসপাতালে। পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আজই জানাজা ও দাফন করা হবে।’
মহিউদ্দীন ফারুক শিল্প নির্দেশক হিসেবে সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পন। ‘বিরাজ বউ’ পরিচালনার মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
‘বসুন্ধরা’ (১৯৭৭), ‘ডুমুরের ফুল’ (১৯৭৮), ‘পিতা মাতা সন্তান’ (১৯৯১), ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ (১৯৯৩), ‘দুখাই’ (১৯৯৭), ‘মেঘলা আকাশ’ (২০০১) ও ‘অবুঝ বউ’ (২০১০) চলচ্চিত্রের জন্য মোট সাতবার শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মহিউদ্দীন ফারুক।