ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর আজ শনিবার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগ। কর্মসূচিতে রাখা হয়েছে মানববন্ধন। সেই মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তোলা হবে শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি। আগামীকাল রোববার তারা এই কর্মসূচি পালন করবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্রদল।

আজ শনিবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্র-শিক্ষকরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই ছাত্রদলের ক্যাডাররা অছাত্র-বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে অস্থিতিশীল করার অপকৌশল নিয়েছে। ছাত্রদলের ক্যাডাররা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অছাত্র-বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে যখন ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা তখন তাদের প্রতিরোধ করেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘নিরাপদ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের এই সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে এবং ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ একাত্মতা ঘোষণা করেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রদল যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, অস্ত্রের ঝনঝনানি আর বুলেটের শব্দে আতঙ্কিত থাকত ক্যাম্পাস, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রক্তে ভেজা থাকত হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, এই সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রদল অছাত্র ও বহিরাগতদের দিয়ে আবারও সেইসব দিন ফিরিয়ে আনার পাঁয়তারা করছে।’ ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না’ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অছাত্র-বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত করার সুযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনই দেবে না৷ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে বরাবরই তাদের প্রতিহত করে এসেছে, আগামীতেও প্রতিহত করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংকল্পবদ্ধ।’