দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ার খবরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলাবাসীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। অতি অল্প সময়ে নিরাপদে রাজধানীতে যাতায়াতের পাশাপাশি সড়কটির কারণে এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হবে বলে এই এলাকার বাসিন্দারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা এজন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলে এই প্রথম কোনো চারলেন এক্সপ্রেসওয়ে চালু হবে। যা এই সরকারের বিরাট এক সাফল্য হিসেবে ধরা হচ্ছে।  

ফরিদপুরের অবহেলিত ভাঙ্গা উপজেলা কোনো সরকারের আমলেই তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার আসার পর রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন করা হয় দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে।

এ সড়কের জন্য রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে যোগাযোগ দ্রুততর ও সহজ হবে। পাশাপাশি পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে এর শতভাগ সুফল মিলবে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।

তারা আশা করে, একই সঙ্গে এই এলাকায় মিল-কারখানা স্থাপন করা হবে। এতে এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে ব্যাপকভাবে। সড়কটির কারণে মানুষের অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব বিষয়ে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চার লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ে কারণে শুধু ভাঙ্গা নয়, এই দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ ও দ্রুততর হবে। এই উন্নয়ন আমাদের এই অঞ্চলের চিরচেনা রূপ পাল্টে নতুন রূপ ধারণ করবে বলে আমি মনে করি। এটা এই অঞ্চলের মানুষের বিরাট এক প্রাপ্তি।