চরমপন্থীকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় (ইবি) থানার বহুল আলোচিত চরমপন্থী ফরিদুল ইসলামকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং আরো ১১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন। এ সময় মামলার ১২ আসামির মধ্যে সাতজন উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার ইবি থানা বানিয়াপাড়া গ্রামের জগো আলী (পলাতক)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই থানার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের ইলাম মণ্ডল ওরফে কালু (পলাতক), বৃত্তিপাড়া গ্রামের শহিদুল, গজনবীপুরের বাদশা মণ্ডল (পলাতক), দেড়িপাড়া গ্রামের আলিম জোয়াদ্দার, বারুইপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম, উজানগ্রামের বাবলু (পলাতক), সাইদুল, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন, আসাদুল, ইউনুছ আলী।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর চরমপন্থী ফরিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আরো কয়েকজন মিলে মানিক মণ্ডল নামের এক ব্যবসায়ীকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করেন। পরে টাকা নিয়ে সহযোগী জগোসহ অন্যদের সঙ্গে ফরিদুলের বিরোধ দেখা দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সহযোগীরা মাথা কেটে ফরিদুলকে হত্যা করেন। পরে ফরিদুলের মাথা ইবি থানার বারুইপাড়া গ্রামের একটি ব্রিজের উপর রেখে দেন।
পরে পুলিশ এসে ওই কাটা মাথাটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার পরের দিন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মনিরুল ইসলাম ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ রায় দেন।