ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে তার ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড ‘সন্ত্রাসী’ ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে একটি সামরিক শহর থেকে খুঁজে বের করা হয়েছিল। খবর এনডিটিভির।

যখন পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভূতি বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে, তখন শনিবার (২৩ আগস্ট) ইটি ওয়ার্ল্ড লিডার্স ফোরামে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জয়শঙ্কর এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের (যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান) মধ্যে একটি ইতিহাস রয়েছে ও ‘সেই ইতিহাসকে উপেক্ষা করার ইতিহাসও আছে’।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, কিছু দেশ যখন নিজেদের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে, তখন তারা এমন ধরনের কাজ করে। তিনি মজার ছলে বলেন, যখন আমেরিকার সামরিক বাহিনী কাউকে ‘ভালো আচরণ’-এর সার্টিফিকেট দেয়, তখন অবাক লাগে যে সেই একই বাহিনী অ্যাবোটাবাদে গিয়ে ওসামা বিন লাদেনের খোঁজ পেয়েছিল, যিনি সেখানেই লুকিয়ে ছিলেন।

এস জয়শঙ্কর মনে করেন, এই ধরনের সম্পর্ক কিছুটা কৌশলগত ও কিছুটা অন্যান্য সুবিধার কারণে হতে পারে। তবে, তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্কের শক্তি ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে সচেতন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি আমার শক্তি, আমার সম্পর্কের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে জানি। এটাই আমাকে পথ দেখায়।

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবিকেও জয়শঙ্কর সরাসরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সংঘর্ষ হলে বিভিন্ন দেশ একে অপরের সঙ্গে কথা বলে, কিন্তু মধ্যস্থতার দাবি করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।

জয়শঙ্কর বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছিল, তা এই দুই দেশের নিজেদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল, অন্য কারো মধ্যস্থতায় নয়।