যেভাবে ইরানে হামলা করে মার্কিন বোমারু বিমানগুলো

মিসৌরি থেকে একটানা ৩৭ ঘণ্টা উড়ে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায় মার্কিন বি-২ স্পিরিট বোম্বারগুলো। এই হামলাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘খুবই সফল আক্রমণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এই তথ্য দিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্টিলথ্ বোমারু বিমানগুলো তাদের যাত্রাপথে বেশ কয়েকবার মাঝ আকাশেই পুনরায় জ্বালানি গ্রহণ করে। স্টিলথ্ বোমারু বিমানগুলো এরপর ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করে।
ইরানের সবচেয়ে নিরাপদ পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত ফোর্দো সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘ফোর্দো শেষ।’ ভূগর্ভস্থ সুরক্ষা সুবিধার জন্য এই স্থাপনাটি বিশেষভাবে পরিচিত ছিল। এই হামলা করার পর সেটিকে ‘আশ্চর্যজনক সফলতা’ হিসেবে বর্ণনা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হয় তাদের শান্তি স্থাপন করতে হবে, নয়তো তাদের ওপর আবারও আক্রমণ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় ব্যবহার করা হয় বাঙ্কার বাস্টার বোমা ও টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই ইরানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সরাসরি হামলা। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনায় ছয়টি বাঙ্কার বাস্টার বোমা ফেলা হয়েছে এবং অন্যান্য পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ৩০টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমশ বাড়তে থাকা সংঘাতের মধ্যেই পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে, মার্কিন হামলায় তাদের বি-২ বোমারু বিমান অংশ নিয়েছে।

গতকাল শনিবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্র তার বি-২ বোমারু বিমানগুলোকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে নিয়ে আসে। এই বিমানগুলো জিবিইউ-৫৭ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনেট্রেটর মোতায়েন করতে পারে। এগুলোর নকশা করা হয়েছে মাটির গভীরে থাকা ফোর্দোর মতো স্থাপনা ধ্বংসের জন্য। এ বিষয়ে ইরানের একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তাসনিম বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, শত্রুর হামলায় ফোর্দোর আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সবগুলো মার্কিন বোমারুবিমান নিরাপদে ঘরে ফিরে এসেছে।’ তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে মার্কিন বীর যোদ্ধাদের অভিনন্দনও জানান।