ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কাঁপল তেলআবিব-জেরুজালেম

ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেলআবিব ও জেরুজালেমে শনিবার (১৪ জুন) মাধ্যরাতে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দখলদার ইসরায়েলের দিকে নতুন করে চালানো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরেই এই ঘটনা ঘটেছে। খবর এএফপির।
ইরানের এই হামলার পরপরই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দেশটির সাধারণ মানুষকে নতুন করে আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এর কয়েক মিনিট পরই তেলআবিব ও জেরুজালেমে পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

এএফপির প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, রাত ২টার দিকে ইরান যখন সর্বশেষ হামলাটি চালায়, তখন তেলআবিবে ক্ষেপণাস্ত্র সদৃশ বস্তু আছড়ে পড়ার পর ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিবাগত রাতের শেষভাগে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তাদের সামরিক অভিযান ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন চলবে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্তজ এই হামলাকে ‘আগাম প্রতিরোধমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা ইসরায়েল রাষ্ট্র ও এর বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা থেকে চালানো হয়েছে।
এই হামলার পর তেহরানের ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি হামলার পর কঠোর প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নতুন কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপৌর। তিনি বলেন, তেহরান শিগগিরই ইসরায়েলের জন্য নরকের দরজা খুলে দেবে।
তেহরানের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়ে শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল জরুরি অবস্থা জারি করেছে। খবর এএফপির।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ‘জড়িত নয়’। তিনি ইরানকে এই অঞ্চলে আমেরিকান ঘাঁটিতে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথায় যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার ইঙ্গিত করে।
ট্রাম্প তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করার পরপরই ইরানে এই হামলা চালানো হয়েছে।