তুরস্কের ইস্তাম্বুলে মস্কোর সঙ্গে শান্তি আলোচনার প্রাক্কালে ৪০টিরও বেশি রুশ বোমারু বিমান ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন। এটাকে রুশ বিমানবাহিনীর ওপর এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। খবর এএফপির। 

আজ রোববার (১ জুন) ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ) জানায়, দেশটির পরিচালিত একটি ‘বড় আকারের বিশেষ অভিযানে’ রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমানগুলো ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। 

এসবিইউর সূত্র মতে, সাইবেরিয়ার ইরকুটস্কের বেলায়া, আর্কটিকের ওলেনিয়া এবং মস্কোর পূর্বে ইভানভো ও ডায়াগিলেভোসহ চারটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

হামলার ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেন দাবি করেছে, এতে ৪০টিরও বেশি বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানঘাঁটিগুলোতে আগুন লেগেছে। তবে এই দাবির স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। রাশিয়ার আঞ্চলিক গভর্নররা ড্রোন হামলার কথা স্বীকার করলেও তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর ছিল বলে দাবি করেছেন।

একই সময়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত রাতে সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, যেখানে রেকর্ড সংখ্যক (৪৭২টি) ড্রোন ব্যবহার করা হয়।

এই হামলার পর ইউক্রেনীয় স্থলবাহিনীর কমান্ডার মিখাইলো দ্রাপ্যাতি পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় একটি ইউক্রেনীয় সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১২ জন সৈন্যের নিহত হওয়ার ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে আগামীকাল সোমবার ইস্তাম্বুলে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম উমেরভের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন।

জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাদের আলোচনার অগ্রাধিকার হলো ‘সম্পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি’ এবং বন্দি ও অপহৃত শিশুদের ফিরিয়ে আনা। তবে এ বিষয়ে আগাম মন্তব্য করতে রাজি হয়নি রাশিয়া।