চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করবে যুক্তরাষ্ট্র : মার্কো রুবিও

ট্রাম্প প্রশাসন ‘চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য আগ্রাসীভাবে ভিসা বাতিল করবে’ বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার (২৮ মে) এ ঘোষণা করেন তিনি। এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। খবর সিএনএনের।
শীর্ষ মার্কিন এ কূটনীতিক বলেছেন, প্রত্যাহারের বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করবে। চীনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযোগ রয়েছে বা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অধ্যয়নরত ব্যক্তিরাও এর অন্তর্ভুক্ত হবেন।
মার্কো রুবিও আরও বলেন, ‘আমরা চীন ও হংকং থেকে ভবিষ্যতের সব ভিসা আবেদনের যাচাই-বাছাই বাড়ানোর জন্য ভিসার মানদণ্ডও সংশোধন করব।’
ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিক পদক্ষেপ
রুবিওর মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন প্রশাসন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করা থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) তিনি সিএনএন জানিয়েছে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই-বাছাই সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাসগুলোকে নতুন ছাত্র ভিসা নিয়োগ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে।

গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের আন্তর্জাতিক ছাত্রদের ভর্তির ক্ষমতা বাতিল করেছিল। যদিও পরে একজন ফেডারেল বিচারক এই পদক্ষেপ স্থগিত করেন। এর পাশাপাশি, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, প্রশাসন ‘একেবারে’ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার কথা বিবেচনা করছে।
শিক্ষাগত সম্পর্কে টানাপোড়েন
২০০৯ সাল থেকে টানা ১৫ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শীর্ষ উৎস ছিল চীন, যা গত বছর ভারত চীনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আন্তর্জাতিক ছাত্র তালিকাভুক্তির ওপর নজরদারি করা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর-সমর্থিত ডাটাবেজ ‘ওপেন ডোরস’-এর পরিসংখ্যান অনুসারে এই তথ্য জানা যায়।
অতীতে মার্কিন-চীন শিক্ষাগত সম্পর্ক দুই দেশের শিক্ষাবিদ ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্প ব্যাপকভাবে চীন ও অন্যান্য দেশ থেকে শীর্ষ প্রতিভাদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা থেকে ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্কগুলো ক্রমবর্ধমান তদন্তের আওতায় এসেছে, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়, শক্তিশালী চীনকে প্রযুক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বী ও তার নিজস্ব পরাশক্তি মর্যাদার জন্য হুমকি হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।