‘ফ্রিক-অফ’ পার্টিতে বাধ্য করা হতো : আদালতে গায়িকা ক্যাসি ভেনচুরা

মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী ক্যাসি ভেনচুরা তার প্রাক্তন প্রেমিক শন ডিডি কম্বসের বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলায় বিস্ফোরক সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে তিনি জানান, ডিডির মাদকাসক্ত ‘ফ্রিক-অফ’ পার্টিতে অংশ নিতে তাকে বাধ্য করা হতো।
গতকাল শুক্রবার (১৬ মে) নিউইয়র্কের আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়ে ক্যাসি বলেন, যদি সেই ‘অপমানজনক’ পার্টিগুলোতে অংশ না নিতে হতো, তবে তিনি ওই মোটা অঙ্কের অর্থ (২০ মিলিয়ন ডলার) ত্যাগ করতেও দ্বিধা করতেন না। প্রধান সাক্ষী হিসেবে তিনি কম্বসের সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের বিষয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের কঠিন জেরার মুখোমুখি হন। খবর বিবিসির।
ক্যাসি জানান, ২০১৩ সালের নভেম্বরে তিনি কম্বসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর তাকে ২০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়। এই মীমাংসার অর্থের পরিমাণ আগে জনসম্মুখে আসেনি। কম্বসের আইনজীবীরা তাদের জেরায় ক্যাসির অভিযোগের আর্থিক দিকটি তুলে ধরার চেষ্টা করে। তারা ইঙ্গিত দেন, মামলা দায়ের করার আগে ক্যাসির আর্থিক সংকট ছিল।
তবে ক্যাসি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফ্রিক-অফ’ মুক্ত জীবনের জন্য সেই অর্থ ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন। এই পার্টিগুলোতো তাকে অন্য পুরুষদের সঙ্গে বিকৃত শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করা হতো। এতে তিনি শারীরিক আঘাত পেতেন, যা কখনও কখনও কয়েক দিন ধরে চলত। এটি তার সঙ্গীত ক্যারিয়ারকে ব্যাহত করত।
কম্বসের আইনি দল আদালতে তাদের সম্পর্কের বিভিন্ন সময়ের বার্তা উপস্থাপন করে দাবি করে, তাদের সম্পর্ক বিষাক্ত ছিল বটে, তবে তা অপরাধমূলক নয়।
ক্যাসি যখন কাঠগড়া ছাড়তে যাচ্ছিলেন, তখন প্রতিপক্ষ তাকে আরেকটি আইনি মীমাংসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে, যা তিনি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলস থেকে পেতে চলেছেন। ২০১৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ঘটনার ভিডিও ফুটেজে কম্বসকে ক্যাসিকে মারধর ও টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়, যার ভিত্তিতে এই মীমাংসা হয়।

আদালতে ডন রিচার্ড নামে আরেক গায়িকাও সাক্ষ্য দেন, যিনি কম্বসের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও অর্থ আটকে রাখার অভিযোগ এনেছিলেন। তিনি জানান, ২০০৯ সালে কম্বসের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে তিনি কম্বসকে ক্যাসিকে মারধর করতে দেখেছিলেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক বিশেষ এজেন্ট আদালতে জানান, নিউইয়র্কে গ্রেফতারের সময় কম্বসের হোটেল কক্ষ থেকে নগদ টাকা, মাদক ও বেবি অয়েল জব্দ করা হয়েছিল। এই মামলার সাক্ষ্যদান আগামী সপ্তাহেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আলোচিত এই মামলার জেরা দেখতে শতশত মানুষ আদালতে ভিড় করেন।